প্রাইভেট ব্যাচেই
বৃষ্টির সাথে প্রথম দেখা।একই মফস্বল শহরে বাস করলেও পূর্বে কখন আকাশের সাথে
বৃষ্টির চেনাজানা এমনকি চোখের দেখা পর্যন্ত হয়নি। বৃষ্টিকে প্রথম দেখাতেই
আকাশের মধ্যে এক অজানা তোরপার শুরু হয়।স্যারের চোখ ফাঁকি দিয়ে আকাশ বৃষ্টির
স্নিগ্ধ কোমল মুখখানির দিকে আবেগ আপ্লুত দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে বারবার। আকাশ
মনে মনে ভাবে,বৃষ্টির কাজল কালো ডাগর চোখ দুটি যেন আমাকে ভালোবাসার কথা
বলছে।অতীতে কোন মেয়েকে দেখে এমনটি হয়নি কখনও আকাশের।এভাবেই একটা ঘোরের
মধ্যে কেটে যায় একটি ঘন্টা। হঠাৎ পড়া শেষ করে স্যার সবাইকে চলে যেতে
বলে।প্রাইভেট পড়ার রুম থেকে বেরিয়ে প্রচন্ড় ভাবাবেগের মধ্যে দিয়ে বৃষ্টিকে
নিয়ে অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর খুজতে খুজতে বাসায় ফেরে আকাশ।
প্রতিদিনের মত আজ রাতেও পড়ার টেবিলে বসেছে আকাশ।অন্যান্য দিন পড়ার টেবিলে বসলে হোম ওয়ার্ক শেষ করে ঘুমিয়ে পড়ে কিন্তু আজ কিছুতেই পড়ায় মন বসছেনা আকাশের।বৃষ্টির মায়াবী মুখ,কাজল কালো ডাগর দুটি চোখ,চন্চলা হরিনীর মত স্বভাব সব সময় যেন আকাশের চোখের তারায় ভাসছে।ভাবছে এখন যদি বৃষ্টিকে কাছে পেতাম তাহলে হৃদয়ের গহব্বরে সন্চিত কথাগুলো ওকে ব্যক্ত করতাম।বইয়ের পাতাগুলো এলোমেলোভাবে উল্টাচ্ছে।পড়াশুনা যেন আজকে ভুলেই গিয়েছে আকাশ।এভাবেই রাত গভীর হয়ে গেলো, চোখের পাতায় ঘুম ধরছেনা কিছুইতেই।আকাশের আবেগ উচ্ছাসিত হৃদয় শুধু বৃষ্টির কথাই বলছে।ভাবছে আজ আমার কেন এমন হলো,আগেতো কখন এমনটি হয়নি আমার, আমি কি বৃষ্টিকে ভালোবেসে ফেলেছি? কতনা প্রশ্ন হৃদয়ের মনিকোঠায় জমাট বেধেছে,সে প্রশ্নের উত্তর খুজে পাচ্ছেনা আকাশ।হঠাৎ খাতা থেকে একটুকরো কাগজ ছিড়ে বৃষ্টিকে উদ্দেশ্য করে কবিতা লিখা শুরু করে।কবিতাটা শেষ করে দেয়াল ঘরির দিকে তাকিয়ে দেখে রাত তিনটা বেজে গিয়েছে।এভাবে রাত জাগলে সকালে রনজয় স্যারের কাছে পড়তে যাওয়া হবেনা এই ভেবে ঘুমিয়ে পড়ে আকাশ।এরপর বাকি রাতটুকু কোন মধুর স্বপ্নে কাটিয়ছে তা শুধু আকাশই জানে।
মেঘলা আকাশ গুরি গুরি বৃষ্টি পড়ছে ,দুপুর গড়িয়ে প্রায় বিকেল এমনি একদিন কলেজ থেকে বাসায় ফিরছে আকাশ পথিমধ্যে বৃষ্টির সাথে দেখা। আকাশ মনে মনে ভাবছে,বৃষ্টিকে ডেকে কি বলবো আমার জমানো অব্যক্ত কথাগুলো কিন্ত দুরু দুরু বুক কিছুতেই সাড়া দিচ্ছে না।হঠাৎ মুষলধারে বৃষ্টি শুরু গেলো,রাস্তার পাশে একটি বাড়ীর বেলকুনিতে আশ্রয় নেয় বৃষ্টি।অন্য উপায়ন্ত না পেয়ে আকাশও আশ্রয় নেয় ঐ বেলকুনিতেই।রাস্তায় লোকজনের খুব একটা চলাচল নেই।নির্জন নিস্তব্ধ বেলকুনিতে শুধু আকাশ আর বৃষ্টি।বেলকুনির দুই প্রান্তে নির্বাক দাড়িয়ে আছে দুজন।অজস্র কথামালা ঢেউ খেলছে দুজনের মনে।মাঝে মাঝে লজ্জামিশ্রিত দৃষ্টিতে একে অপরের দিকে তাকাচ্ছে দুজন।কিন্ত কেউ কাউকে কিছু বলতে পারছে না,মনে হচ্ছে বিরাট একটা পাথরের দেয়াল তাদেরকে আলাদা করে রেখেছে।
এভাবেই প্রায় দেরটি ঘন্টা একই বেলকুনিতে কেটে যায় দুজনের।মেঘের বর্ষন শেষ।বৃষ্টি বেলকুনি থেকে নেমে হাটতে থাকে রাস্তায়।আকাশ ভাবে এতটা সময় দুজন এক সাথে পাড় করলাম কিছুই বলতে পারলাম না! তবুও মন মানছেনা কিছুতেই।আকাশ বৃষ্টির পিছু নিয়ে বৃষ্টির কাছে গিয়ে বলে,বৃষ্টি শোন.....বৃষ্টি যেন কোন কিছু না শোনার ভান করে হাটতে থাকে।হঠাৎ বৃষ্টির গতি রোধ করে সামনে দাড়ায় আকাশ এবং বলে আমার মনের মধ্যে জমানো সঞ্চিত কথাগুলো যদি না শোন তাহলে হয়ত শ্বাস রুদ্ধ হয়ে যাবে আমার,আমি এভাবে আর বয়ে বেড়াতে পারছিনা,এই সুন্দর পৃথিবীতে সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার জন্য আমার জীবনে তোমাকে একান্তই দরকার, আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি বৃষ্টি,এখান থেকে ফেরা আর সম্ভব নয়।
আকাশের মুখ থেকে এই কথাগুলো শোনার পর বৃষ্টির সমস্ত মুখ মন্ডল রক্ত বর্ণ ধারন করে,চোখের পাতাগুলো কাঁপতে থাকে,পৃথিবীর সমস্ত লজ্জা যেন ভর করে বৃষ্টির সমস্ত অস্তিত্বে...........................
প্রতিদিনের মত আজ রাতেও পড়ার টেবিলে বসেছে আকাশ।অন্যান্য দিন পড়ার টেবিলে বসলে হোম ওয়ার্ক শেষ করে ঘুমিয়ে পড়ে কিন্তু আজ কিছুতেই পড়ায় মন বসছেনা আকাশের।বৃষ্টির মায়াবী মুখ,কাজল কালো ডাগর দুটি চোখ,চন্চলা হরিনীর মত স্বভাব সব সময় যেন আকাশের চোখের তারায় ভাসছে।ভাবছে এখন যদি বৃষ্টিকে কাছে পেতাম তাহলে হৃদয়ের গহব্বরে সন্চিত কথাগুলো ওকে ব্যক্ত করতাম।বইয়ের পাতাগুলো এলোমেলোভাবে উল্টাচ্ছে।পড়াশুনা যেন আজকে ভুলেই গিয়েছে আকাশ।এভাবেই রাত গভীর হয়ে গেলো, চোখের পাতায় ঘুম ধরছেনা কিছুইতেই।আকাশের আবেগ উচ্ছাসিত হৃদয় শুধু বৃষ্টির কথাই বলছে।ভাবছে আজ আমার কেন এমন হলো,আগেতো কখন এমনটি হয়নি আমার, আমি কি বৃষ্টিকে ভালোবেসে ফেলেছি? কতনা প্রশ্ন হৃদয়ের মনিকোঠায় জমাট বেধেছে,সে প্রশ্নের উত্তর খুজে পাচ্ছেনা আকাশ।হঠাৎ খাতা থেকে একটুকরো কাগজ ছিড়ে বৃষ্টিকে উদ্দেশ্য করে কবিতা লিখা শুরু করে।কবিতাটা শেষ করে দেয়াল ঘরির দিকে তাকিয়ে দেখে রাত তিনটা বেজে গিয়েছে।এভাবে রাত জাগলে সকালে রনজয় স্যারের কাছে পড়তে যাওয়া হবেনা এই ভেবে ঘুমিয়ে পড়ে আকাশ।এরপর বাকি রাতটুকু কোন মধুর স্বপ্নে কাটিয়ছে তা শুধু আকাশই জানে।
মেঘলা আকাশ গুরি গুরি বৃষ্টি পড়ছে ,দুপুর গড়িয়ে প্রায় বিকেল এমনি একদিন কলেজ থেকে বাসায় ফিরছে আকাশ পথিমধ্যে বৃষ্টির সাথে দেখা। আকাশ মনে মনে ভাবছে,বৃষ্টিকে ডেকে কি বলবো আমার জমানো অব্যক্ত কথাগুলো কিন্ত দুরু দুরু বুক কিছুতেই সাড়া দিচ্ছে না।হঠাৎ মুষলধারে বৃষ্টি শুরু গেলো,রাস্তার পাশে একটি বাড়ীর বেলকুনিতে আশ্রয় নেয় বৃষ্টি।অন্য উপায়ন্ত না পেয়ে আকাশও আশ্রয় নেয় ঐ বেলকুনিতেই।রাস্তায় লোকজনের খুব একটা চলাচল নেই।নির্জন নিস্তব্ধ বেলকুনিতে শুধু আকাশ আর বৃষ্টি।বেলকুনির দুই প্রান্তে নির্বাক দাড়িয়ে আছে দুজন।অজস্র কথামালা ঢেউ খেলছে দুজনের মনে।মাঝে মাঝে লজ্জামিশ্রিত দৃষ্টিতে একে অপরের দিকে তাকাচ্ছে দুজন।কিন্ত কেউ কাউকে কিছু বলতে পারছে না,মনে হচ্ছে বিরাট একটা পাথরের দেয়াল তাদেরকে আলাদা করে রেখেছে।
এভাবেই প্রায় দেরটি ঘন্টা একই বেলকুনিতে কেটে যায় দুজনের।মেঘের বর্ষন শেষ।বৃষ্টি বেলকুনি থেকে নেমে হাটতে থাকে রাস্তায়।আকাশ ভাবে এতটা সময় দুজন এক সাথে পাড় করলাম কিছুই বলতে পারলাম না! তবুও মন মানছেনা কিছুতেই।আকাশ বৃষ্টির পিছু নিয়ে বৃষ্টির কাছে গিয়ে বলে,বৃষ্টি শোন.....বৃষ্টি যেন কোন কিছু না শোনার ভান করে হাটতে থাকে।হঠাৎ বৃষ্টির গতি রোধ করে সামনে দাড়ায় আকাশ এবং বলে আমার মনের মধ্যে জমানো সঞ্চিত কথাগুলো যদি না শোন তাহলে হয়ত শ্বাস রুদ্ধ হয়ে যাবে আমার,আমি এভাবে আর বয়ে বেড়াতে পারছিনা,এই সুন্দর পৃথিবীতে সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার জন্য আমার জীবনে তোমাকে একান্তই দরকার, আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি বৃষ্টি,এখান থেকে ফেরা আর সম্ভব নয়।
আকাশের মুখ থেকে এই কথাগুলো শোনার পর বৃষ্টির সমস্ত মুখ মন্ডল রক্ত বর্ণ ধারন করে,চোখের পাতাগুলো কাঁপতে থাকে,পৃথিবীর সমস্ত লজ্জা যেন ভর করে বৃষ্টির সমস্ত অস্তিত্বে...........................
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন