২৬
মার্চ ২০০৪ সালে বাংলাদেশের সামরিক,আধাসামরিক ও বেসামরিক বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত হয় রাপিড এ্যাকশন
ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)। শুরুতে এই বাহিনীর কার্যকক্রম সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক
আস্থা অর্জনে সমর্থ হয় কারণ তৎকালীন সময়ে অস্থিতিশীল সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন
ও সন্ত্রাস,চাঁদাবাজীর মূল উৎপাটনের জন্য তরিৎ
অভিযান পরিচালনা সক্ষম ও বিশেষ প্রশিক্ষণ সম্পর্ণ এমন একটি শক্তিশালী আইন শৃংখলা
বাহিনী সময়ের দাবী ছিলো ।এছাড়া অনেক বড় বড় সন্ত্রাসী সংগঠন ও সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে
অনেক দুঃসাহসী সফল অভিযান পরিচালনা করে তাদের সক্ষমতার স্বাক্ষর মানুষের কাছে
তুলে ধরেন। শুধু বাংলাদেশেই নয় বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতেও এ ধরনের বিশেষ আইন শৃংখলা
রক্ষাকারী বাহিনী রয়েছে। শুরুতে এই বাহিনীর কার্যক্রম আশা জাগানোর হলেও এর পরের
গল্প শুধুই হতাশার,বেদনার এবং কান্নার। আইন শৃংখলা রক্ষার
নামে এর অন্তরালে এই বাহিনীকে দিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন সময়ের ক্ষমতাশীনরা এই দশ
বছরে কি করেছে তার বিশদ বিশ্লেষন এবং কি উদ্দেশ্যে মূলত ব্যবহার করা হচ্ছে তা আজ
গভীর ভাবে ভেবে মানুষের সচেতন ও শোচ্চার হবার সময় এসেছে।
একটি
দেশের দুষ্কৃতিকারী মহল দ্বারা নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড সংগঠিত হবে ও তৎপরতা চলবে
এবং তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযান পরিচালনা করে অপরাধীকে ধরে আইনের আওতায় এনে
বিচারের সম্মুখীন করা ও সমাজের অপতৎপরতামূলক কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণ করাই মূলত দেশের
আইন শৃংখলা বাহিনীগুলোর কাজ। সেই বাহিনীই যদি কোন প্রকার জবাবদিহিতা ছাড়া নিজ হাতে
বিচার বিভাগের দায়িত্ব তুলে নিয়ে জল্লাদের কাজটিও সম্পন্ন করে ফেলে এবং তা সরকারের
নির্দেশেই তাহলে সেই সংগঠন বা বাহিনীকে জনগনের বন্ধু সংগঠন বলা যায় কি? এবং এমন কর্মকান্ড সমর্থনকারী সরকার বা
রাষ্ট্রকে মানবিক ও আধুনিক গণতান্ত্রীক রাষ্ট্র বলা যায় কি? ধরে নিতে হবে দেশ আসলে গণতন্ত্রের
ছদ্দবেশে মূলত সেই সম্রাট আকবরে পাইক পেয়াদার একনায়কতান্ত্রিক শাসনের দিকে ধাবিত
হয়েছে।
একটি
বেসরকাারী সংস্থার হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের বিভিন্ন সময়ের ক্ষমতাশীন সরকার এ
পর্যন্ত র্যাবকে দিয়ে প্রায় ২০০০ মানুষকে বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করিয়েছে।
রাষ্ট্র ও র্যাব এর কাছে এই দুই হাজার মানুষের পরিচয় সন্ত্র্রাসী হিসেবে। যদি
সন্ত্রাসী হয়েও থাকে তবুও প্রাথমিক দৃষ্টিকোন থেকে একটি আদর্শ রাষ্ট্রের দায়িত্ব
ছিলো এই মানুষগুলোকে আইনের আওতায় এনে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তি ও
সংশোধনের ব্যবস্থা করা। একজন মানুষের সম্পর্কে আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ
থাকলেই একজন মানুষ সন্ত্রাসী বা অপরাধী হয়না, অভিযোগকারী ব্যক্তিকে প্রামানিক তথ্য উপাত্ত ও বিচার বিশ্লেষনের উপর
ভিত্তি করে একমাত্র আদালত সন্ত্রাসী বা অপরাধী সাবস্থ্য করতে পারে আবার নিরাপরাধও
প্রমান হতে পারে।
যে
মানুষগুলোকে হত্যা করা হয়েছে এই মানুষগুলোর আত্নকথন দেশের মানুষ জানেনা। সরকার কেন
তাদের বক্তব্য শোনেনি ?কেন সরাসরি হত্যা করলো ? বিচার প্রক্রিয়া ছাড়াই কেন সন্ত্রসী
হিসেবে চিহ্নিত করলো ? এই হত্যা প্রক্রিয়া কি সমাজ ও
রাষ্ট্রের কল্যাণের স্বার্থে ?নাকি
বিশেষ কোন গোষ্ঠীর স্বার্থে ?যদি
কল্যাণের স্বার্থেই হয়, তাহলে দুই হাজার বড় বড় সন্ত্রাসী হত্যা
করার পরও দেশ কেন আজ হত্যা,
গুম, খুন ও অপকর্মের চারণভূমি ? এই প্রক্রিয়ার নেপথ্যে আসলে কি ঘটছে তা
আজ দেশের বিবেকবান ও সমাজ সচেতন মানুষদেরকে ভাবিয়ে তুলছে।
যে
মানুষগুলো হত্যা করা হয়েছে তারা প্রত্যেই রাষ্ট্র অনুমোদিত গল্প অনুযায়ী র্যাবের
সাথে বন্দুক যুদ্ধ করতে গিয়ে ক্রসফায়ারে মারা গিয়েছে। কিন্তু এই সাজানো যুদ্ধের
আসল ঘটনা একমাত্র অপারেশনাল ফোর্স ও ভিকটিম ব্যক্তি ছাড়া কেউ জানতে পারেনা ।ভিকটিম
ব্যক্তিকে যেহেতু পরপারে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাই আসল ঘটনা আর জনসম্মুখে আসার সুযোগ
থাকেনা। পরবর্তিতে র্যাবের মিডিয়া উইং কর্তৃক ঘটনার সাথে রং রস লাগিয়ে মিডিয়ার
সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করা হয়। আমাদের মিডিয়াগুলোও উপস্থাপিত গল্পকে
অত্যন্ত গুরত্ব সহকারে অনুসন্ধান ছাড়াই খুন হওয়া ব্যক্তিককে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে
প্রচার করে থাকে,আর যেসব সাহসী সংবাদ সংস্থা ও সাংবাদিক ঘটনার নেপথ্যে অনুসন্ধানের
চেষ্টা চালিয়েছে তাদেরকে অনেক সময় সরকারের এই পাইক পেয়াদা বাহিনী দ্বারা হয়রানীর
স্বীকার হতে হয়েছে।
এই
বাহিনীর কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে দেশের অভ্যন্তরীন ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার
সংস্থাগুলো সোচ্চার প্রতিবাদ করে আসলেও কোন সরকারই তা কর্ণপাত না করে রাষ্ট্রীয় এই
সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালু রেখেছে। আবার দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল ক্ষমতা
বাইরে থেকে র্যাবের বিরুদ্ধে কথা বললেও ক্ষমতা গিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থেই
এই বাহিনীকে ব্যবহার করছে।
আজ
যে মানুষগুলোকে রাষ্ট্রীয় ভাবে হত্যা করা হয়েছে তাদের প্রত্যেকের জীবনের উপর একটু
গবেষনা চালিয়ে যদি জানার চেষ্টা করা হয় ঘটনার নেপথ্যের গল্প, তাহলে একটু গভিরে যাওয়ার চেষ্টা করলে
দেখা যাবে , এই মানষগুলোর জীবন যাপন স্বাভাবিক ছিলো, কিন্তু জীবনের কোন এক পর্যায়ে অপ্রাপ্তি ,হতাশা ও ব্যর্থতা থেকে জীবনের প্রয়োজনে কোন সমাজ বিরোধী চক্রের
প্ররোচনায় অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েছে, আবার অনেকেই কোন রাজনৈতিক মতাদর্শে
উদ্বুদ্ধ হয়ে রাজনীতি করতে এসে রাজনৈতিক নেতাদের ব্যবহারের হাতিয়ার হয়ে পরে নামের
সাথে লেগেছে সন্ত্রাসীর তকমা।
আমাদের
দেশে বর্তমান যে ধারার রাজনৈতিক সংস্কৃতি চালু রয়েছে এই ধারায় মাঠ পর্যায়ে সশস্ত্র
ক্যাডার,সুদক্ষ খুনি,চাঁদাবাজ,ত্রাস সৃষ্টিকারী বোমাবাজ,দখলদারিত্বে পারদর্শী নেতাকর্মী ছাড়া
প্রতিযোগিতামূলক রাজনৈতিক রেসের ময়দানে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই রাজনীতির প্রয়োজন
থেকে এবং ক্ষমতা লুটের লড়াইয়ে শক্তি বৃদ্ধির জন্য আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো
সমাজ থেকে কিছু মানুষকে প্রয়োজনের তাগিদেই লাঠিয়াল হিসেবে তৈরী করে এবং উদ্বুদ্ধ
করে। এই ছোট্ট লাঠিয়ালই লাঠিবারি খেলতে খেলতে কোন একসময় হয়ে যায় লাঠিয়াল সরদার।
সরদার থেকে যখন অর্থ বিত্তের পাশাপাশী তৈরী করে ফেলে আন্ডার ওয়াল্ডে বিশেষ প্রভাব
ঠিক তখনি এই মানুষগুলোকে সমাজের কাছে ভয়ংকর সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করে এবং
ত্রাস সৃষ্টি করে এদেরকে দিয়ে আড়ালে বসে স্যুট কোট ও পাজামা পানজাবী পরিহিত
রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাধারী স্বচ্ছ ইমেজের সমাজ বিরোধী স্বার্থান্বেষী মানুষেরা চালায়
যাবতীয় অপকর্ম ও তৎপরতা। এই আন্ডার ওয়াল্ডের মানুষগুলো যখন আমাদের স্বচ্ছ ইমেজের
ভন্ড নেতাদের মুখোস উন্মোচনের কারণ হয়ে দাড়ায়, ঠিক তখনি জনগনের অর্থে কেনা গোলা বারুদ ও বেতন ভাতায় পোষ্য সরকারী
পাইক পেয়াদা দিয়ে সুস্থ মাথায় হত্যা করিয়ে জনসাধারণকে বোঝানো হয় তারা দেশের আইন
শৃংখলা ও জান মাল রক্ষায় আপোসহীন ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এভাবেই আমাদের শোষক শ্রেণী যেমন
নিজ স্বার্থে সমাজ থেকে সন্ত্রাসী সৃষ্টি করছে অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোকেও
নিজেদের ক্ষমতার প্রভাব প্রতিপত্তি আরো সুদৃঢ় করার জন্য অপব্যবহার করছে। এরই
ধারাবাহিকতায় আমাদের মাথার ওপর যে শোষক শ্রেনী পাথরের মত চেপে বসেছে এবং তাদের
রক্তচোষা নেতৃত্বের কারণে আজ জনগনের টাকায় পোষ্য আইন শৃংখলা বাহিনীগুলো জনসাধারণের
সেবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ না হয়ে প্রতিনিয়ত জল্লাদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে ঘাতকতা করে
চলছে। হত্যা প্রক্রিয়াই যদি সমাজের শান্তি ও স্থিতিশীলতার সমাধান হতো তাহলে যে দুই
হাজার মানুষকে সন্ত্রাসী হিসেবে হত্যা করা হলো এই হত্যাকাণ্ডের মধ্যদিয়েই বাংলাদেশ শান্তির
স্বর্গভূমি হওয়ার কথা ছিলো। মূলত এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অপকর্মের মূল শিকড়ে পানি ঢেলে সতেজ করে শুধু ডালপালা ছেঁটে দিয়ে সন্ত্রাসকে
আরো শৈল্পীক ভাবে পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করে সমাজ ও রাষ্ট্রকে গ্রাসীত করা হয়েছে।
রাষ্ট্র
যদি আজ কল্যাণমুখী হতো তাহলে একজন মানুষের সন্ত্রাসী হয়ে ওঠার কারণ খুজে বের করে
তা সমাধানের নানা পদক্ষেপ গ্রহন করতো এবং আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে
মৃত্যু হওয়া প্রত্যেকটি ঘটনার প্রকৃত রহস্য খুজে বের করতো এবং যথাযত পদক্ষেপ গ্রহন
করে এই অনৈতিক হত্যালীলা বন্ধ করতো।
আসলে
যে রাষ্ট্র বা সরকার ব্যবস্থা মানুষকে তার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার যোগ্যতা
রাখেনা, সেই রাষ্ট্রের মানুষ হত্যার অধিকার
কতটা যৌক্তিক ?
আজ
র্যাব শব্দটি মানুষের কাছে এক শঙ্কার নাম। কোন পরিবারের কোন সদস্য যদি এই বাহিনীর
হাতে গ্রেফতার হয়, তাহলে সেই পরিবারের সকল সদস্যদের আতংক
ও সংশয়ের মধ্যে প্রতি মুহূর্ত চিন্তা করতে হয় যে, মানুষটি সুস্থ শরীরে আবার ফিরে আসবে কি ?নাকি প্রিয় মানুষটির লাশ রূপে দেখা মিলবে খালে বিলে অথবা কোন মর্গে।
এমন শত শত পরিবার প্রিয়জনের দুঃসহ স্মৃতি
বুকে নিয়ে আজ দিনাতিপাত করছে।আজকের সরকার এই বাহিনীকে দিয়ে অনেকেরই পুঙ্গত্বের জীবন উপহার
দিয়ে জীবনের বেঁচে থাকার সোনালী স্বপ্নকে ধূসর করে দিয়েছে।র্যাবের আক্রশের
স্বীকার পঙ্গু লিমন চাইলেই আর কোন দিনও দুই পায়ে খেলার মাঠে দৌড়াতে পারবেনা,পারবেনা দরিদ্র পিতামাতার সংসারের হাল শক্ত
ভাবে ধরতে,সারা জীবন খোড়া হয়েই জীবন অতিবাহিত করে
পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হবে।
এক
সময় সমাজের কালো টাকার মালিকেরা শত্রু বা প্রতিপক্ষকে খুন করার জন্য পেশাদার খুনি
চক্রের সাথে টাকা বিনিময়ে চুক্তি করতো,কিন্তু আজ সময়ের বিবর্তনে র্যাব সেই কালো টাকার মালিকদের কাছে
আশির্বাদ হয়ে আবর্ভাব হয়েছে ,কারণ
এখন খুন করার জন্য টাকার বিনিময়ে র্যাব এর সাথে চুক্তি করলেই, খুবই নিখুতভাবে ঝুকিমুক্ত খুনের সেবা
প্রদান করে র্যাব সমাজ বিরোধী চক্রের সাথে হাত মিলিয়ে কাজ করছে। সাম্প্রতিক সময়ে
নারায়নগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের ঘটনাই যেন তার উজ্জল দৃষ্টান্ত। আবার অনেকের জমিজমা
দখলের ব্যাপারেও মাস্তানদের পরিবর্তে এই বাহিনীর সদস্যদের সাথে চুক্তির করছে, সেই দৃষ্টান্তও আজ দৃশ্যমান ।
...... আপনারদের বিবেকের কাছে একটা প্রশ্ন
রাখতে চাই, রাষ্ট্রের বড় চেয়ারে বসে ও মর্যদার
পোষাক পরে আজ আপনারা যারা যে টাকার বিনিময়ে ঘৃন্য কাজে লিপ্ত হয়ে রাষ্ট্র ও জাতিকে
নিয়ে যে ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছেন, সেই টাকায় গুলশান বনানীতে
কেনা ফ্লাটের দক্ষিনা জানালার বাতাস কি আপনার শরীরকে শীতল করবে? যে নরম বিছানায় স্ত্রীর সাথে আরাম করে
ঘুমানোর জন্য মানুষ হত্যা করলেন, আপনার
কি সত্যির আয়েশের ঘুম হবে?
মনে হবেনা, আপনি আসলে নরম বিছানায় নয়, বরং লাশের ওপর শুয়ে আছেন?একবারও কি মনে প্রশ্ন জাগেনা, আপনার অভিশপ্ত টাকার ফ্লাটে পরিবারের
সবার আয়েশের ঘুম হলেও অপঘাতে আপনার হাতে খুন হওয়া মানুষগুলো আত্না আপনার চিন্তার
জগতে আনাগোনা করে আমৃত্যু দংশন করবে। একটু
অন্যভাবে চিন্তা করে দেখুন ,আপনার
যে প্রজন্মকে উচ্চবিলাশী জীবন উপহার দেওয়ার জন্য আজ আপনার অর্জিত শিক্ষা, জ্ঞান ও বিবেককে বলিদান করলেন,সেই প্রজন্মকে মূলত কি দিয়ে গেলেন? আপনি আসলে আপনার প্রজন্মজকে এক ঘৃনার
ইতিহাস মানুষের রক্ত দিয়ে রচনা করে দিয়ে গেলেন।
যদিও
জংধরা তালাবদ্ধ বিবেকেরবানদের কাছে বিবেক ও নৈতিকতার গল্প হাস্যকর।
আজ
শুধু র্যাবের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে শোচ্চার হলেই সমস্যার সমাধান মিলবেনা মূলত
সন্ত্রাস ও অপকর্মের যে ফলবান বৃক্ষ আমাদের মাথার উপর ছেয়ে আছে সেই ফলবান বিষবৃক্ষের মূলশিকড় উপরে ফেলার দিকে লক্ষ্য স্থির করে, সাধারণ মানুষের মধ্যে গনসচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য প্রত্যেক সমাজ
সচেতন ও যারা শোষক শ্রেণীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ তাদের প্রত্যেককেই
আজ যার যার অবস্থান থেকে দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে কথা বলা শুরু করতে হবে। যেদিন সামাজিক
জাগরণের মধ্যেদিয়ে এক মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে সংঘবদ্ধ গণশত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই চূড়ান্ত
করতে পারবো সেই দিনই জাতীর মুক্তি। তানাহলে সমাজ আজ যে ধারায় বহমান সেই ধারা
অব্যহত থাকলে সমাজের প্রত্যেকটি মানুষকেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কোন একসময় লিমন
কিংবা দু হাজার অপমৃত্যুর স্বীকারদের মত ভাগ্য বরণ করা লাগতে পারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন