কোন এক সময় মানুষের অশিক্ষা ,অজ্ঞতা ও কুসংস্কারের কারণে ন্যায় অন্যায় বিচারবোধ উপলব্ধি না করে নানা লোমহর্ষক কর্মকান্ড ঘটাতো। আমরা দৃষ্টান্ত স্বরূপ বলে থাকি সেই মধ্যে যুগিয় বর্বরতার কথা। ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য যুগে যুগে আবির্ভাব হয়েছে নানা দার্শনিক ,সামাজিক ,রাজনৈতিক চিন্তাধারা এবং ধর্মীয় বিধিবিধান। অনেক মহামানবদের আত্বত্যাগ,সাধনা ও রক্তের ফসল আমাদের আজকের এই ধরনী এবং সভ্যতা।
মানব সভ্যতার স্বর্ণ যুগে আজ আমাদের অবস্থান। আজও জ্ঞান বিজ্ঞানে অগ্রগামী জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা তাদের পূর্ববর্তীরদের ভূল থেকে শিক্ষা নিয়ে মানবতা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার চর্চায় মগ্ন রেখেছে। ঠিক তখন আমারা কি চর্চা করছি ?যে বাঙ্গালী জাতীগোষ্ঠী নিয়ে আমাদের এত গর্ব সেই অহংকারের জাতীকে আজ কোন পথে নিয়ে যাচ্ছি। অনেক গ্লানী ,দুঃখ ,দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম ও রক্তপাতের মধ্যে দিয়ে শত শত বছরের পরাধীনতার শৃংখল ছিন্ন করে আমাদের পূর্ববর্তীগন একটি স্বাধীন জাতীগোষ্ঠী উপহার দিয়ে গেলো। সেই স্বাধীনতার ফলাফল কি ?কি চর্চা করছে এই জাতীগোষ্ঠীর মানুষ। আজ বাংলাদেশের মানুষ পৃথিবীর বৃহত্তর চারটি ধর্মীয় দর্শন চর্চা করে,কেউ কেউ কোন ধর্মীয় দর্শন বিশ্বাস না করে নিজেকে মানবতাবাদী পরিচয় দিয়ে সেরা মানুষ দাবি করে থাকে,অনেকেই আবার বাংলাদেশ বলতেই চেতনায় কাতর হয়ে যায় ,মঙ্গল প্রদীব জ্বালায় , পতাকার রঙে শাড়ী পানজাবী পড়ে,কেউ শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কমিউনিজম আন্দোলন করে জীবন বিলিয়ে দিচ্ছে,কেউ বাংলার মানুষের মত প্রকাশের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য গনতন্ত্রের আন্দোলন সংগ্রাম করে রাজপথ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। পৃথিবীর জ্ঞান বিজ্ঞানের সমস্ত শাখা প্রশাখা আজ বাংলাদেশে রপ্তানী হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে কেউ হয়েছেন গনতন্ত্রের মানষ কন্যা ,কেউ আপসহীন নেত্রী ,কেউ পল্লীবন্ধু ,আরো অনেক উপাধিতে ভূষিত আমাদের কান্ডারী জাতীর মাঝি মাল্লাগন। এদের নেতৃত্বাধীন জাতীর সমস্ত জ্ঞান চর্চার ফলাফল স্বরুপ আজ যা দেখতে পাচ্ছি তাহলো,বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রী ধারী যুবক রাষ্ট্রের সেবক ও সম্মানে আসনে বসে নীতি নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে ভিক্ষুকের মনোবৃত্তি নিয়ে হাত বাড়িয়ে ঘুস খাচ্ছে। একজন জনপ্রতিনিধি জনগনের প্রতিশ্রুতি পূরণের পরিবর্তে, নিজেকে সর্বোচ্চ তুষ্টির জন্য সৌদি আরবের গরিব মিস্কিনের উদ্দেশ্যে পাঠানো দুম্বার মাংস গরিবকে না দিয়ে নিজের বাড়িতেই রান্না করে পরিবার পরিজন ও নেতাকর্মী নিয়ে ভূরিভোজ করছে। এখন একজন ছাত্রের আর পড়াশুনার পাশাপাশী শিল্প সাংস্কৃতিতে মন বসেনা, লুটতরাজ রাজনৈতিক দলের ফ্রন্ট লাইনে আসার জন্য সে মানুষ কোপাতেই ভালোবাসে। একজন ছদ্দবেশী কমিউনিষ্ট নিজেকে গণমানুষের নেতা দাবি করলেও পাজামা পানজাবির ভাঁজ , পাজেরো গাড়ি ও মন্ত্রীত্বের স্বাধ দীর্ঘায়ী করার জন্য লুটেরাদের দালালী করতে আর লজ্জাবোধ করেনা। একজন চিকিৎসকের এখন আর একজন মুমূর্ষু রোগীকে দেখে হৃদয়ের মানবিকতার দুয়ার খোলেনা,বরং গুলশানের ফ্লাটের কিস্তির টাকা পরিশোধের জন্য একজন রোগীকে একবারের পরিবর্তে তিনবার পেটে সার্জারির ছুরি চালানোর ব্যবস্থা করে। একজন বুদ্ধি ব্যাবসায়ী রাষ্ট্রীয় পদক ধরার দৌড়ে এগিয়ে থাকার জন্য অশিক্ষিত ও মূর্খ রাজনৈতিক নেতার ভিত্তিহীন মন্তব্যকে সত্য রুপে প্রতিষ্ঠার জন্য টিভি টকশোতে ঘন্টার পর ঘন্টা যুক্তি প্রদার করে। অনেক ধার্মিক নিজেকে সমাজের সেরা মানুষ দাবি করলেও অন্য ধর্মের মানুষের উপর অত্যাচার ও উপাসনালয় ভেঙ্গে ফেলা পূর্ণের কাজ মনে করে। আর মানুষ হত্যা যেন ইদুর বিড়ালের মৃত্যুর মত, বিচারতো দুরের কথা যা আজ রাষ্ট্রীয় রেজিষ্টার খাতায় এন্ট্রিই হয়না, ফলে সরকারের ষ্টেশনারী খরচ সাশ্রয় হয়। আর এসবের দোহাই দিয়ে অনেক এনজিও ও মানবাধিকারের ফেরিওয়ালারা বিদেশী দাতা সংস্থার ভিক্ষা এনে নিজেদের ব্যাংক ব্যালেন্স ভারী করছে। মাছ ব্যাবসায়ী ফল ব্যাবসায়ীকে,ফল ব্যাবসায়ী মাছ ব্যাবসায়ীকে ফরমালিন খাওয়াচ্ছে , এরুপ সবার মধ্যে দ্রুত অর্থ বিত্তের মালিক হওয়ার লালসা ডুকিয়ে দিয়ে আমাদের সবাইকে একে অপরকে দ্বারা বিষ খাত্তনোর ব্যাবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। এভাবে পূঁজিপতিদের ব্যাবসার বাজার সৃষ্টি করে জাতিকে ধংসের মুখে ঠেলে দিয়ে এ্যাপোলো,স্কয়ার, ল্যাব এইড,ইউনাইটেডের মত রক্তচোষাদের রমরমা স্বাস্থ্য বানিজ্যের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে । মূলত, যে দেশের প্রধানমন্ত্রী চোর খুনিদের লালন পালন ও চরিত্রবানের সনদ প্রদান করে সেই দেশের সারারণ মানুষের চরিত্রহীনতায় অবাক হওয়ার কিছু থাকেনা।দেশের প্রধান আদর্শের চেয়ার যদি আদর্শহীনতার মডেল হয় সেই জাতির চেয়ে হতভাগা জাতি আর থাকতে পারেনা। আর তাইতো জাতির চেতনার উৎস ও শ্রেষ্ট সন্তান মুক্তিযোদ্ধার রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ক্রেষ্টের বরাদ্ধকৃত স্বর্ণের অর্থ চুরি একজন মন্ত্রী বা সচিবের স্বাভাবিক কর্মকান্ডের আওতায়ই পড়ে। যে দেশের মানুষের বৃহৎ একটা অংশে আফ্রিকার বুভুক্ষ জনগোষ্ঠীর প্রতিচ্ছবি ভেসে ওঠে, সেই দেশে শত কোটি টাকা খরচে বৃহৎ মানব পতাকার রেকর্ড সৃষ্টির সৌখিন দেশ প্রেম হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই মনে হয়না।
আজকের এই সভ্যতার মোড়কে ঢাকা বর্বরতার যুগে যে মানুষগুলো এখনো সত্য, ন্যায় ও সুন্দরের ঝান্ডা হাতে দাড়িয়ে আছে এবং জাতীর মুক্তির স্বপ্ন দেখে আত্নবিসর্জন দিয়ে সংগ্রাম করছে তাদেরকে সশ্রদ্ধ ছালাম ও সমর্থন এবং তাদের ডাকে সাড়া দেবার আহবান।
মানব সভ্যতার স্বর্ণ যুগে আজ আমাদের অবস্থান। আজও জ্ঞান বিজ্ঞানে অগ্রগামী জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা তাদের পূর্ববর্তীরদের ভূল থেকে শিক্ষা নিয়ে মানবতা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার চর্চায় মগ্ন রেখেছে। ঠিক তখন আমারা কি চর্চা করছি ?যে বাঙ্গালী জাতীগোষ্ঠী নিয়ে আমাদের এত গর্ব সেই অহংকারের জাতীকে আজ কোন পথে নিয়ে যাচ্ছি। অনেক গ্লানী ,দুঃখ ,দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম ও রক্তপাতের মধ্যে দিয়ে শত শত বছরের পরাধীনতার শৃংখল ছিন্ন করে আমাদের পূর্ববর্তীগন একটি স্বাধীন জাতীগোষ্ঠী উপহার দিয়ে গেলো। সেই স্বাধীনতার ফলাফল কি ?কি চর্চা করছে এই জাতীগোষ্ঠীর মানুষ। আজ বাংলাদেশের মানুষ পৃথিবীর বৃহত্তর চারটি ধর্মীয় দর্শন চর্চা করে,কেউ কেউ কোন ধর্মীয় দর্শন বিশ্বাস না করে নিজেকে মানবতাবাদী পরিচয় দিয়ে সেরা মানুষ দাবি করে থাকে,অনেকেই আবার বাংলাদেশ বলতেই চেতনায় কাতর হয়ে যায় ,মঙ্গল প্রদীব জ্বালায় , পতাকার রঙে শাড়ী পানজাবী পড়ে,কেউ শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কমিউনিজম আন্দোলন করে জীবন বিলিয়ে দিচ্ছে,কেউ বাংলার মানুষের মত প্রকাশের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য গনতন্ত্রের আন্দোলন সংগ্রাম করে রাজপথ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। পৃথিবীর জ্ঞান বিজ্ঞানের সমস্ত শাখা প্রশাখা আজ বাংলাদেশে রপ্তানী হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে কেউ হয়েছেন গনতন্ত্রের মানষ কন্যা ,কেউ আপসহীন নেত্রী ,কেউ পল্লীবন্ধু ,আরো অনেক উপাধিতে ভূষিত আমাদের কান্ডারী জাতীর মাঝি মাল্লাগন। এদের নেতৃত্বাধীন জাতীর সমস্ত জ্ঞান চর্চার ফলাফল স্বরুপ আজ যা দেখতে পাচ্ছি তাহলো,বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রী ধারী যুবক রাষ্ট্রের সেবক ও সম্মানে আসনে বসে নীতি নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে ভিক্ষুকের মনোবৃত্তি নিয়ে হাত বাড়িয়ে ঘুস খাচ্ছে। একজন জনপ্রতিনিধি জনগনের প্রতিশ্রুতি পূরণের পরিবর্তে, নিজেকে সর্বোচ্চ তুষ্টির জন্য সৌদি আরবের গরিব মিস্কিনের উদ্দেশ্যে পাঠানো দুম্বার মাংস গরিবকে না দিয়ে নিজের বাড়িতেই রান্না করে পরিবার পরিজন ও নেতাকর্মী নিয়ে ভূরিভোজ করছে। এখন একজন ছাত্রের আর পড়াশুনার পাশাপাশী শিল্প সাংস্কৃতিতে মন বসেনা, লুটতরাজ রাজনৈতিক দলের ফ্রন্ট লাইনে আসার জন্য সে মানুষ কোপাতেই ভালোবাসে। একজন ছদ্দবেশী কমিউনিষ্ট নিজেকে গণমানুষের নেতা দাবি করলেও পাজামা পানজাবির ভাঁজ , পাজেরো গাড়ি ও মন্ত্রীত্বের স্বাধ দীর্ঘায়ী করার জন্য লুটেরাদের দালালী করতে আর লজ্জাবোধ করেনা। একজন চিকিৎসকের এখন আর একজন মুমূর্ষু রোগীকে দেখে হৃদয়ের মানবিকতার দুয়ার খোলেনা,বরং গুলশানের ফ্লাটের কিস্তির টাকা পরিশোধের জন্য একজন রোগীকে একবারের পরিবর্তে তিনবার পেটে সার্জারির ছুরি চালানোর ব্যবস্থা করে। একজন বুদ্ধি ব্যাবসায়ী রাষ্ট্রীয় পদক ধরার দৌড়ে এগিয়ে থাকার জন্য অশিক্ষিত ও মূর্খ রাজনৈতিক নেতার ভিত্তিহীন মন্তব্যকে সত্য রুপে প্রতিষ্ঠার জন্য টিভি টকশোতে ঘন্টার পর ঘন্টা যুক্তি প্রদার করে। অনেক ধার্মিক নিজেকে সমাজের সেরা মানুষ দাবি করলেও অন্য ধর্মের মানুষের উপর অত্যাচার ও উপাসনালয় ভেঙ্গে ফেলা পূর্ণের কাজ মনে করে। আর মানুষ হত্যা যেন ইদুর বিড়ালের মৃত্যুর মত, বিচারতো দুরের কথা যা আজ রাষ্ট্রীয় রেজিষ্টার খাতায় এন্ট্রিই হয়না, ফলে সরকারের ষ্টেশনারী খরচ সাশ্রয় হয়। আর এসবের দোহাই দিয়ে অনেক এনজিও ও মানবাধিকারের ফেরিওয়ালারা বিদেশী দাতা সংস্থার ভিক্ষা এনে নিজেদের ব্যাংক ব্যালেন্স ভারী করছে। মাছ ব্যাবসায়ী ফল ব্যাবসায়ীকে,ফল ব্যাবসায়ী মাছ ব্যাবসায়ীকে ফরমালিন খাওয়াচ্ছে , এরুপ সবার মধ্যে দ্রুত অর্থ বিত্তের মালিক হওয়ার লালসা ডুকিয়ে দিয়ে আমাদের সবাইকে একে অপরকে দ্বারা বিষ খাত্তনোর ব্যাবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। এভাবে পূঁজিপতিদের ব্যাবসার বাজার সৃষ্টি করে জাতিকে ধংসের মুখে ঠেলে দিয়ে এ্যাপোলো,স্কয়ার, ল্যাব এইড,ইউনাইটেডের মত রক্তচোষাদের রমরমা স্বাস্থ্য বানিজ্যের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে । মূলত, যে দেশের প্রধানমন্ত্রী চোর খুনিদের লালন পালন ও চরিত্রবানের সনদ প্রদান করে সেই দেশের সারারণ মানুষের চরিত্রহীনতায় অবাক হওয়ার কিছু থাকেনা।দেশের প্রধান আদর্শের চেয়ার যদি আদর্শহীনতার মডেল হয় সেই জাতির চেয়ে হতভাগা জাতি আর থাকতে পারেনা। আর তাইতো জাতির চেতনার উৎস ও শ্রেষ্ট সন্তান মুক্তিযোদ্ধার রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ক্রেষ্টের বরাদ্ধকৃত স্বর্ণের অর্থ চুরি একজন মন্ত্রী বা সচিবের স্বাভাবিক কর্মকান্ডের আওতায়ই পড়ে। যে দেশের মানুষের বৃহৎ একটা অংশে আফ্রিকার বুভুক্ষ জনগোষ্ঠীর প্রতিচ্ছবি ভেসে ওঠে, সেই দেশে শত কোটি টাকা খরচে বৃহৎ মানব পতাকার রেকর্ড সৃষ্টির সৌখিন দেশ প্রেম হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই মনে হয়না।
আজকের এই সভ্যতার মোড়কে ঢাকা বর্বরতার যুগে যে মানুষগুলো এখনো সত্য, ন্যায় ও সুন্দরের ঝান্ডা হাতে দাড়িয়ে আছে এবং জাতীর মুক্তির স্বপ্ন দেখে আত্নবিসর্জন দিয়ে সংগ্রাম করছে তাদেরকে সশ্রদ্ধ ছালাম ও সমর্থন এবং তাদের ডাকে সাড়া দেবার আহবান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন