ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ফেজবুকে কূটক্তি করায় ৩০তম বিসিএসের মাধ্যমে কাস্টমস
ক্যাডারে যোগ দেওয়া সরকারি কর্মকর্তা সুশান্ত পালের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে।
তবে আমি এই প্রসঙ্গ ধরে একটু অন্য ভাবে বলার চেষ্টা করছি,….. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
দেশের মধ্যে গর্বের ধন হলেও এখন আন্তর্জাতিক ভাবে গর্ব করার মত কিছুই নেই।এখান
থেকে পাশ করা কিছু ছাত্র ব্যতিত অধিকাংশ ছাত্রই দেশের বাইরে গিয়ে আন্তর্জাতিক
অঙ্গনে কাজ করার অনুপযুক্ত।এখানে এখন শিক্ষার থেকে ছাত্র শিক্ষকেরা বাংলাদেশের
নোংরা রাজনীতি বেশী চর্চা করে। ফলোশ্রুতিতে এক সময়ের প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত এই
বিদ্যাপীঠটিকে বিশ্বের হাজার হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যখন র্যাংকিং হয় তখন এই
বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম অসংখ্যের শেষ কাতারেও খুঁজে পাওয়া যায় না।অবকাঠামোগত দিক থেকে
সমৃদ্ধ হওয়ার সত্বেও শিক্ষার মানের কারণে এই দুর্দশা। এখান থেকে পড়ে দেশের মধ্যে
বিসিএস ক্যাডার বা পিস্তল চালনায় দক্ষতা অর্জন করে দেশের মন্ত্রী হওয়ার মধ্যে
গর্বের কিছুই নাই, যদিনা আন্তর্জাতিক
অঙ্গনে কাজ করার যোগ্য না হই এবং এখানে থেকে সেই মানের শিক্ষার্থী তৈরী না হয়।এখন
দেশের মধ্যে দেশী বিদেশী অনেক প্রতিষ্ঠানের নীতি নির্ধারণই পদের শূন্যতা পূরণ করতে
হয় দেশের বাইরে থেকে কর্মকর্তা এনে।দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আন্তর্জাতিক মানের
শিক্ষার্থী বা মানব সম্পদ তৈরী করতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে।আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায়
এমন অনেক মানুষের সাক্ষাৎ ঘটেছে যারা যুগোপযোগী শিক্ষা অর্জন করতে না পারায় ব্যক্তি
ও কর্ম জীবনে ব্যর্থ হয়ে শুধু এক সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নের অহংকারে
নিজেদেরকে অন্যদের থেকে আলাদা ও মেধাবী ভেবে থাকেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের
গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও সংগ্রামের প্রতীক। আমাদের সম্পদ।এই প্রতিষ্ঠানে যারা অধ্যায়ন
করছে এবং করেছেন, এই প্রতিষ্ঠান শুধু তাদেরই ভাবনার বিষয় ও
গর্ব করার সম্পদ নয়।এটা সমগ্র দেশের মানুষেরই গর্বের ধন।কারণ এই ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে আমরাও গর্ববোধ করি এবং ব্যর্থতায় আমরাও চিন্তিত হই। তাই
গঠনমূলক সমালোচনার অধিকার সবারই রয়েছে এবং সেই সমালোচনায় নিজেকে অসম্মানবোধ না করে,
বরং সমালোচনার বাস্তবতা আমলে নিয়ে নিরবে গ্রহণ বা পরিত্যাগ করাই
শ্রেয়। তবে এ কথা মানি কারো অবাস্তব বা অমূলক সমালোচনায় এত বড় প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘ
সময়ের অর্জিত সম্মানের তেমন কিবা ক্ষতি সাধন হতে পারে।