একটি পুরস্কার বা পদক কাজের স্বীকৃতির পরিচয় বহন করে,পরবর্তী কাজের প্রেরণার পাথেয় হিসেবে অনুপ্রেরণা যোগায়, সমাজের মানুষের নিকট নতুন করে আবির্ভাব ঘটায়। অপরদিকে পুরষ্কারের বিপরীতের একজন পুরষ্কার গ্রহীতার যে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয় তাহলো, পুরষ্কার প্রাপ্তির পর পুরস্কৃত ব্যক্তির বিবেক,ইচ্ছা,আনন্দ,কণ্ঠ নতুন করে দাসত্বের শিকলে বন্দী হয়। কারণ কোন পুরষ্কার গ্রহণের সম্মতি প্রদানের সঙ্গে সঙ্গে পুরষ্কার প্রদানকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে পুরষ্কার গ্রহীতার এক ধরণের আনুগত্যের অলিখিত চুক্তি সম্পাদন হয়ে যায়। ফলে পুরষ্কার প্রদানকারী ঐ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ বা জনবিরোধী কোন কর্মকাণ্ডের সমালোচনার ক্ষেত্রে পুরষ্কার প্রাপ্ত ব্যক্তির সারা জীবনের অর্জিত শিক্ষা ও সাধনা দ্বারা তৈরি হওয়া বিবেকবোধের উপর প্রাপ্ত পুরষ্কার একটি পাথর হয়ে চেপে বসে।
যদি কোন গানের কথামালা আমার হৃদয়কে আন্দোলিত করে, সুরে আমার শিরা উপশিরায় শিহরণ তুলে দেহকে ছন্দে দোলায়।এই ছন্দের তালে দুলে যাওয়াইতো আমার বেঁচে থাকার স্বাধীনতার সুখ।যে পুরষ্কার আমার ছন্দের তালকে বাধাগ্রস্ত করে ওটার নাম পুরষ্কার নয় ,ওটা সন্মান নয়, ওটা পরাধীনতা।
দাসত্বের বেড়ি পড়ান সভ্য সমাজের মানুষ হওয়ার চেয়ে মুক্ত পাখির মতো গণমানুষের সুরে সুর মিলিয়ে গান গাওয়া সাধারণ জীবন সার্থক……