বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতাপূর্ব বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশকে স্বাধীন করা অপরিহার্য মনে করেছিলেন। সেজন্য দেশের মানুষকে যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। মানুষ তাঁর কথায় উজ্জীবিত হয়ে একটি সুসজ্জিত সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে শুধু বুকের সাহসটাকে সম্বল করে সকল মতবিরোধ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো।দেশ স্বাধীন করার মত একটি দুঃসাহসী কাজ বাঙালি জাতি মাত্র নয় মাসে সম্পন্ন করে ফেললো। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের মানুষের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা ও শোষণ বঞ্চনাহীন একটি রাষ্ট্র পাওয়ার কথা ছিল।কিন্তু হল তার উল্টো।দেশের দায়িত্বশীলদের কার্যক্রম ও আচরণে প্রমাণ হল, রাষ্ট্রের যা কিছু যার হাতে আছে তাই লুট করো।বঙ্গবন্ধুর এই লুটেরাদের প্রতি দারুণ ক্ষোভ ছিল, যা তার ধারণকৃত বিভিন্ন ভাষণে প্রমাণ মেলে।তিনি নিজের দলের লোক হলেও চোরকে চোরই বলতেন ,সাধু বলতেন না।যে কারণে এই মানুষটাকে শোষিত সাধারণ মানুষের নেতা হিসেবে মেনে নিতে আমার মধ্যে কোন দ্বিধাবোধ কাজ করেনা। বরং মনে হয় এমন একজন নেতা বাংলাদেশে আবার কবে সৃষ্টি হবে,যে কিনা ক্ষমতার মসনদে বসে সাধারণ মানুষের অধিকারের কথা বলবে। রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল চেয়ারে বসা কর্মচারীদেরকে খেটে খাওয়া মানুষদের প্রতি সম্মান দেখাতে বলবে।
যে জাতি ভিনদেশী শাসকদের বৈষম্যের হাত থেকে বাঁচার জন্য রক্ত দিয়ে ত্যাগ স্বীকার করল।অথচ কাগজে কলমে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকেই বাংলাদেশের মানুষ নিজেদের দ্বারাই নিজেরা বৈষম্য ও শোষণের স্বীকার হচ্ছে আজ পর্যন্ত।
আজ বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের চরম দুর্যোগের কালে পৌরসভা,ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বরদের চাল চুরির দৃশ্য দেখে আমরা আঁতকে উঠছি।আমার কাছে এটাকে আঁতকে ওঠার মত কোন দৃশ্য মনে হয়নি।কারণ,স্বাধীনতা পরবর্তী আমাদের দেশের রাজনীতির ধারা প্রবাহিত হচ্ছে উল্লেখিত ঐ« রাষ্ট্রের যা কিছু যার হাতে আছে তাই লুট করো » চিন্তার উপর ।বৈধ অবৈধ পথে ক্ষমতার পালা বদল হয়েছে কিন্তু বিপদগামী এই রাজনৈতিক ধারার পরিবর্তন হয়নি।চেয়ারম্যান মেম্বর,এরা তৃণমূলের প্রতিনিধি। এই প্রতিনিধিত্ব অর্জনের জন্য তাদেরকে কোটি টাকা খরচ করতে হয়।এদের হাতে এমন বড় কোন অবকাঠামো উন্নয়নের দায়িত্ব থাকেনা যেখান থেকে তারা নির্বাচনে বিনিয়োগ করা অর্থ তুলে আনবে।থাকে দুর্যোগকালীন ত্রাণ বণ্টনের দায়িত্বসহ সাধারণ কার্যক্রম ।স্পর্শকাতর হলেও উপায় না পেয়ে এখান থেকেই তারা চুরি করার সাহস দেখিয়েছে ।যা আমাদের কাছে নতুন কোন আশ্চর্যের ঘটনা নয়। তারা জানে, কিছুদিন মানুষ এই বিষয় নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করবে, পরে ভুলে যাবে।হয়তো আইনগত ভাবে তাদের বিরুদ্ধে লোক দেখানো লঘুদন্ড দেয়া হবে। কিন্তু, কিছু দিন পরে আবার তারা স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরে আসবে।কারণ,তাদের অধিকাংশের শরীরে ক্ষমতাসীন রাজনীতির স্টিকার লাগানো রয়েছে।
ওরা ভাবে নাই, প্রতিটি বস্তার মধ্যে রয়েছে দেশের ক্ষুধার্ত মানুষের আহার । ওরা মনে করেছে, চালের এক একটি বস্তা হল টাকা যা আমাদের সারা বছরের গুণগানের রাজনীতি করার উপহার । প্রতিটি বস্তার উপর লেখা “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার”।কিন্তু, প্রতিটি বস্তায় লেখা উচিত ছিল “অনাহারীদের জন্য রাষ্ট্রের উপহার” তাহলে হয়তো চুরি করার আগে বিবেকের তাড়নায় ওরা একটু হলেও হোঁচট খেত।নিজের গোত্রীয় উপহার মনে করে এমন চুরির উৎসব করত না।
যদি প্রতিটি দুর্যোগকালীন সময়ে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের দায়িত্ব দেয়া হয় শুধু দুস্থদের তালিকা তৈরির, আর ত্রাণ বণ্টন ও পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেয়া হয় আমাদের শেষ আস্থার সংস্থা সেনাবাহিনীর হাতে তাহলে দেখা যাবে পরবর্তীতে অনেক রাজনৈতিক নেতা স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি হওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।
দেশের সম্পদ লুটের যে চেইন রয়েছে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত প্রত্যেকেই দক্ষতার সহিত তা সম্পাদন করে যাচ্ছে যুগের পর যুগ ধরে।যার আয়ত্তে আছে ব্যাংকে মানুষের গচ্ছিত আমানত লুটে নেবার, তিনি ঋণ খেলাপি হয়ে বিদেশে টাকা পাচার করছে।যাদের আয়ত্তে রয়েছে শেয়ার বাজার, তারা মানুষকে শেয়ার বাজারে আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রতারণা করছে।মন্ত্রী এমপি কমিশন খাচ্ছে।যাদের শক্তি রয়েছে ভোটের ব্যালট লুট করে বাক্সে ভরে দেবার তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা লুটে নিচ্ছে।লুটতো আমাদের রাষ্ট্রের প্রতিটি স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে করোনা ভাইরাসের মতই।রাষ্ট্রের সমস্ত শরীর আজ লুট ভাইরাসে আক্রান্ত।অসুস্থ রাষ্ট্রের শরীর থেকে ভাইরাস মুক্ত করে সুস্থ করতে না পারলে রাষ্ট্রের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ভালো থাকবে কি করে? নিয়মতান্ত্রিক ভাবে একটি রাষ্ট্র কখনো একক ব্যক্তির প্রচেষ্টায় চলে না, চলে একটি নিয়মতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামোর উপর ভিত্তি করে,সেই কাঠামোর উপর বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে না থাকায় চলমান আমাদের যাবতীয় সমস্যা।
তবে আশার কথা,অসৎদের ভীড়ে দেশে অনেক দায়িত্বশীল সৎ ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,শিক্ষক, সাংবাদিক, পুলিশ, আইনজীবী ও অন্যান্য পেশাজীবী রয়েছে, যারা লড়াই করছে দেশকে এই সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষার জন্য।রাজপথে সৎ রাজনীতিবিদদের সংখ্যাও কম নয়। আমাদের উচিত তাদের পাশে থেকে সমর্থন অব্যাহত রাখা।আমরা যদি বুকের সাহস দিয়ে নয় মাসে দেশ স্বাধীন করতে পারি, তাহলে সকল প্রকার দুর্নীতি অনিয়মে বিরুদ্ধে লড়াই করে জয়ী হওয়ার সক্ষমতা এই বাংলাদেশীদের রয়েছে।দরকার শুধু ন্যায়কে ন্যায় বলার মানসিকতা ও অন্যায়কে অন্যায় বলার সাহস এবং জাতীয় ভাবে ঐক্যবদ্ধ একটি প্রতিবাদী বিস্ফোরণ।
যে জাতি ভিনদেশী শাসকদের বৈষম্যের হাত থেকে বাঁচার জন্য রক্ত দিয়ে ত্যাগ স্বীকার করল।অথচ কাগজে কলমে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকেই বাংলাদেশের মানুষ নিজেদের দ্বারাই নিজেরা বৈষম্য ও শোষণের স্বীকার হচ্ছে আজ পর্যন্ত।
আজ বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের চরম দুর্যোগের কালে পৌরসভা,ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বরদের চাল চুরির দৃশ্য দেখে আমরা আঁতকে উঠছি।আমার কাছে এটাকে আঁতকে ওঠার মত কোন দৃশ্য মনে হয়নি।কারণ,স্বাধীনতা পরবর্তী আমাদের দেশের রাজনীতির ধারা প্রবাহিত হচ্ছে উল্লেখিত ঐ« রাষ্ট্রের যা কিছু যার হাতে আছে তাই লুট করো » চিন্তার উপর ।বৈধ অবৈধ পথে ক্ষমতার পালা বদল হয়েছে কিন্তু বিপদগামী এই রাজনৈতিক ধারার পরিবর্তন হয়নি।চেয়ারম্যান মেম্বর,এরা তৃণমূলের প্রতিনিধি। এই প্রতিনিধিত্ব অর্জনের জন্য তাদেরকে কোটি টাকা খরচ করতে হয়।এদের হাতে এমন বড় কোন অবকাঠামো উন্নয়নের দায়িত্ব থাকেনা যেখান থেকে তারা নির্বাচনে বিনিয়োগ করা অর্থ তুলে আনবে।থাকে দুর্যোগকালীন ত্রাণ বণ্টনের দায়িত্বসহ সাধারণ কার্যক্রম ।স্পর্শকাতর হলেও উপায় না পেয়ে এখান থেকেই তারা চুরি করার সাহস দেখিয়েছে ।যা আমাদের কাছে নতুন কোন আশ্চর্যের ঘটনা নয়। তারা জানে, কিছুদিন মানুষ এই বিষয় নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করবে, পরে ভুলে যাবে।হয়তো আইনগত ভাবে তাদের বিরুদ্ধে লোক দেখানো লঘুদন্ড দেয়া হবে। কিন্তু, কিছু দিন পরে আবার তারা স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরে আসবে।কারণ,তাদের অধিকাংশের শরীরে ক্ষমতাসীন রাজনীতির স্টিকার লাগানো রয়েছে।
ওরা ভাবে নাই, প্রতিটি বস্তার মধ্যে রয়েছে দেশের ক্ষুধার্ত মানুষের আহার । ওরা মনে করেছে, চালের এক একটি বস্তা হল টাকা যা আমাদের সারা বছরের গুণগানের রাজনীতি করার উপহার । প্রতিটি বস্তার উপর লেখা “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার”।কিন্তু, প্রতিটি বস্তায় লেখা উচিত ছিল “অনাহারীদের জন্য রাষ্ট্রের উপহার” তাহলে হয়তো চুরি করার আগে বিবেকের তাড়নায় ওরা একটু হলেও হোঁচট খেত।নিজের গোত্রীয় উপহার মনে করে এমন চুরির উৎসব করত না।
যদি প্রতিটি দুর্যোগকালীন সময়ে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের দায়িত্ব দেয়া হয় শুধু দুস্থদের তালিকা তৈরির, আর ত্রাণ বণ্টন ও পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেয়া হয় আমাদের শেষ আস্থার সংস্থা সেনাবাহিনীর হাতে তাহলে দেখা যাবে পরবর্তীতে অনেক রাজনৈতিক নেতা স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি হওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।
দেশের সম্পদ লুটের যে চেইন রয়েছে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত প্রত্যেকেই দক্ষতার সহিত তা সম্পাদন করে যাচ্ছে যুগের পর যুগ ধরে।যার আয়ত্তে আছে ব্যাংকে মানুষের গচ্ছিত আমানত লুটে নেবার, তিনি ঋণ খেলাপি হয়ে বিদেশে টাকা পাচার করছে।যাদের আয়ত্তে রয়েছে শেয়ার বাজার, তারা মানুষকে শেয়ার বাজারে আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রতারণা করছে।মন্ত্রী এমপি কমিশন খাচ্ছে।যাদের শক্তি রয়েছে ভোটের ব্যালট লুট করে বাক্সে ভরে দেবার তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা লুটে নিচ্ছে।লুটতো আমাদের রাষ্ট্রের প্রতিটি স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে করোনা ভাইরাসের মতই।রাষ্ট্রের সমস্ত শরীর আজ লুট ভাইরাসে আক্রান্ত।অসুস্থ রাষ্ট্রের শরীর থেকে ভাইরাস মুক্ত করে সুস্থ করতে না পারলে রাষ্ট্রের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ভালো থাকবে কি করে? নিয়মতান্ত্রিক ভাবে একটি রাষ্ট্র কখনো একক ব্যক্তির প্রচেষ্টায় চলে না, চলে একটি নিয়মতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামোর উপর ভিত্তি করে,সেই কাঠামোর উপর বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে না থাকায় চলমান আমাদের যাবতীয় সমস্যা।
তবে আশার কথা,অসৎদের ভীড়ে দেশে অনেক দায়িত্বশীল সৎ ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,শিক্ষক, সাংবাদিক, পুলিশ, আইনজীবী ও অন্যান্য পেশাজীবী রয়েছে, যারা লড়াই করছে দেশকে এই সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষার জন্য।রাজপথে সৎ রাজনীতিবিদদের সংখ্যাও কম নয়। আমাদের উচিত তাদের পাশে থেকে সমর্থন অব্যাহত রাখা।আমরা যদি বুকের সাহস দিয়ে নয় মাসে দেশ স্বাধীন করতে পারি, তাহলে সকল প্রকার দুর্নীতি অনিয়মে বিরুদ্ধে লড়াই করে জয়ী হওয়ার সক্ষমতা এই বাংলাদেশীদের রয়েছে।দরকার শুধু ন্যায়কে ন্যায় বলার মানসিকতা ও অন্যায়কে অন্যায় বলার সাহস এবং জাতীয় ভাবে ঐক্যবদ্ধ একটি প্রতিবাদী বিস্ফোরণ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন