আমাদের মধ্যে অনেকেরই ব্যক্তিগত অর্থবিত্ত ও সম্পদ প্রদর্শন বা অন্যকে গল্প শুনিয়ে নিজের মান মর্যাদা বাড়ানো ও নিজের শ্রেণী বোঝানোর প্রবণতা রয়েছে। যাদের মধ্যে এমন প্রবণতা বা প্রবৃত্তি রয়েছে তাদের অধিকাংশই উপলব্ধি করতে পারে না যে এটি একটি অতি নিম্নমানে অভিরুচি।
মনে রাখা জরুরী, যে সম্পদ আমি সঞ্চয় করেছি আমার নিজের নিরাপত্তার জন্য বা নিজের ভোগের জন্য ,অন্যের জন্য জন্য নয়, সেই সম্পদের গল্প অন্যের কোন উপকারে আসবে কি? যদি না আসে,তবে কেন আমার সম্পদের গল্প বা প্রদর্শন অন্যের কাছে করতে যাবো।অন্যকে নিজের সম্পদের বিবরণীর গল্প করা শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে কি ?
প্রদর্শিত বা গল্প হতে পারে সেই সম্পদের, যে সম্পদ আপনি কষ্ট করে উপার্জন করেছেন কিন্তু ব্যয় হচ্ছে পরার্থে বা কোন মহৎ কাজে, যে গল্প অন্যকে আরও এমন মহৎ কাজের উৎসাহ যোগাবে।
অন্যের কাছে প্রদর্শিত হবে আমাদের শিক্ষা,জ্ঞান, ব্যবহার, সদাচারণ, পরার্থপরতা ইত্যাদি, তবে তা নিজের মুখের গল্পের দ্বারা নয়,নিজের কর্মের দ্বারা অন্যের মুখে।
একান্ত ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণে দেখছি, যারা জীবনে প্রচণ্ড অভাব অনটন ও অপ্রাপ্তির মধ্যে দিয়ে দিনাতিপাত করে জীবনের কোন এক সময় বৈধ বা অবৈধ উপায়ে সম্পদের অধিকারী হয়েছে তাদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশী। এ ক্ষেত্রে শিক্ষিত ও অশিক্ষিত উভয় শ্রেণীর মধ্যে বস্তুত বিশেষ কোন পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় না।