কারো অপরাধ বা পাপের মাত্রা বেশী হয়ে গেলে সে নিজেই নিজের ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাকে নিয়ে কেউ কিছু না ভাবলেও সে ভাবতে শুরু করে, তার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলো বুঝি প্রতিশোধ নেবার জন্য ভেতরে ভেতরে কৌশল আঁটছে ।ফলে,নিজ সৃষ্ট শঙ্কিত ভয়ে নিজেই তাড়িত হতে থাকে,কখনো নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতিতে ভোগে।এ ভাবেই অপরাধের শাস্তি স্বরূপ নিজের ভেতরে বিক্ষুব্ধ হয়ে একসময় জীবনের স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলে ।
একবার এক তত্ত্বজ্ঞানীকে( মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জুয়েল) প্রশ্ন করেছিলাম, ভালো থাকার সহজ উপায় কি? এক কথার উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ভালো থাকার সহজ উপায় « অন্যকে ভালো রাখা » ।
কেউ যখন কাউকে ক্ষতি করে সেই ক্ষতির পরিমাণ দৃশ্যমান এবং ক্ষতিগ্রস্ত সাময়িক কষ্ট পেয়ে সেই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠে।কিন্তু, যে ক্ষতি করে সে ক্ষতিগ্রস্তের চেয়ে বিপুল পরিমাণ ক্ষতির মধ্যে পড়ে যায়, যা অদৃশ্যমান।অদৃশ্যমান এই ক্ষতির ভয়াবহতা থেকে সহজেই সে বেরুতে পারে না।
অর্থাৎ, কাউকে ক্ষতি করে কখনো লাভবান হওয়ার যায় না, বরং নিজেকেই বড় ক্ষতির মধ্যে ফেলা হয় ।
যে মানুষ যত বেশী মানুষ ও প্রাণ প্রকৃতিকে সুখে রাখার সংগ্রামে নিজেকে নিমগ্ন করে সেই মানুষের অন্তরের পবিত্রতা ও সুখ অনুভূতি ততই বাড়তে থাকে।
সমাপনী কথা গুলো যদি আমরা অনুধাবন করতে পারি, তাহলে জীবন অনেক সুন্দর ও সহজ হতে পারে...
উত্তরমুছুনভোগবাদী সমাজের মধ্যে বসবাস করে আত্মিক এই সুখ সহজেই ধরা দেবার নয়। জীবন ও জগত নিয়ে ভাবনা একটু গভীর করলেই বোঝা যায় একমাত্র পরার্থপরতার ছাড়া এই সুখ অন্য কোথাও পাওয়া সম্ভব নয়।
মুছুন