মানুষ জীবনের যে কোন পর্যায়ে তার প্রত্যাশার থেকে প্রচুর অর্থের অধিকারী হতে পারে, কখনো অকল্পনীয় ক্ষমতার অধিকারী হতে পারে, আবার কখনো যোগ্যতার চেয়েও বড় পদের ভার নিজের উপর পড়তে পারে,দৈবক্রমে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তাও দুয়ারে হাজির হতে পারে।
এমন সময়ে অধিকাংশ মানুষই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা।ফলে, ন্যায় নীতি ও মনুষ্যত্ব জ্ঞান হারিয়ে আচরণে বন্য হিংস্র প্রাণিতে পরিণত হয়ে ওঠে।ক্রমাগত এমন ঔদ্ধত্য আচরণের ফলে একটা সময় তার চারপাশের মানুষের মনে তার প্রতি ঘৃণা ও অশ্রদ্ধার উদ্ভব হতে থাকে।এতে ঝড়ের গতিতে উত্থান হওয়া মানুষটা একটা সময় জনবিছিন্ন হতে থাকে। এক পর্যায়ে আত্মবিশ্বাস হীনতা জেগে বসে ।তখন অর্থ ক্ষমতা ও পদ থাকলেও সে আর এসবের মধ্যে সুখ খুঁজে পায় না।জীবনটাকে তার কাছে অন্তঃসারশূন্য মনে হতে থাকে। তখন তার প্রকৃত উপলব্ধি জ্ঞান ফিরে আসলেও মানুষের অন্তরে আর পুনরায় প্রবেশের সুযোগ থাকে না।পরিশেষে এমন মানুষের সমাজে আবির্ভাব ঘটে শুধুই একটা পদার্থ রূপে।
যারা প্রাজ্ঞ ও অন্তর্দৃষ্টি সম্পন্ন মানুষ তারা পার্থিব প্রাপ্তির এই সময়ে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে আরও ধিরস্থিরসম্পন্ন ও বিনয়ী মানুষ হয়ে ওঠে।কারণ, তাদের মধ্যে এই নশ্বর জীবন ও জগতের গতি প্রকৃতির জ্ঞান থাকার কারণে জগতের এই পার্থিব প্রাপ্তি কখনোই মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার থেকে বড় হয়ে উঠতে পারেনা। ফলে,জীবনের কোন এক পর্যায়ে জগতের পার্থিব অর্জন ও মানুষের শ্রদ্ধা ভালোবাসা মিলে সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছে মহান হয়ে ওঠেন।পৃথিবী থেকে প্রস্থানের পর এরা হয়ে ওঠেন জ্বলজ্বলে এক ধ্রুবতারা,আপামর মানুষের আদর্শ।